1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা: চিকিৎসক বাংলাদেশ পুলিশের দুর্নীতি: নতুন সরকারের দায়িত্ব ও জনমতের চাপ মৌলভীবাজারে লাইফলাইন হাসপাতালে অনিয়ম ও অবহেলার অভিযোগ ছাত্রদলের কমিটি গঠনে ২০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ দক্ষিণ সুরমায় সাংবাদিকের বাসায় হামলা: ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাট লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছেন ডা. জুবাইদা খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন কি না—চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের: মির্জা ফখরুল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই,তারেক রহমানের ফেরাকে ঘিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাস জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগদানের ঢল: মির্জা ফখরুল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় সিআইডি কর্মকর্তা

ওষুধের দাম কমানো ও রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক
দেশে ওষুধ তৈরিতে প্রয়োজনীয় ৪০০ ধরনের অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) বা কাঁচামালের মধ্যে মাত্র ৪১টি উৎপাদিত হয় স্থানীয়ভাবে। এই কাজ করছে ২১টি প্রতিষ্ঠান। ফলে ৯০ শতাংশ এপিআই আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ওষুধের দাম কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি।

সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত একটি কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় বক্তব্য দেন ডেল্টা ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান, এসিআই হেলথকেয়ারের সিইও এম মহিবুজ্জামান, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, “দেশে এপিআই উৎপাদনের জন্য ৪৯টি সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়, যা পেতে ছয় মাস বা তার বেশি সময় লেগে যায়। অথচ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন ৫০০ টন উপকরণ, সেখানে অনুমোদন মেলে মাত্র ১০০ টনের মতো।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি কাঁচামাল তৈরিতে ভিন্ন ভিন্ন ও ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। যেহেতু সরকার এখনও সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে পারেনি, তাই এ খাতে বড় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। চীন ও ভারত এখনো আমাদের প্রধান উৎস, কিন্তু তারা কাঁচামালের দাম ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থায় তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”

ডা. জাকির হোসেন বলেন, “১৮ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধ শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ২০০ একর জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু একটি চীনা বিশেষজ্ঞ দল এসে জানায়, এই পরিমাণ জায়গা যথেষ্ট নয়। যেখানে চীনের একটি কারখানার আয়তন ৫৫০ একর। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান সেখানে আগ্রহ হারাচ্ছে। বর্তমানে এই পার্কে ৪২টি প্লট ২৭টি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১৫টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যাবে, বাকিরা হয়তো অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত (মার্জ) হবে।”

এসিআই হেলথকেয়ারের সিইও এম মহিবুজ্জামান বলেন, “এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) হিসেবে আমাদের কিছু সুবিধা থাকলেও, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে এই সুবিধাগুলো থাকবে না। তখন আমাদের বৈশ্বিক মূল কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে উচ্চ দামে এপিআই কিনতে হবে, যার প্রভাব সরাসরি ওষুধের দামে পড়বে।”

হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সিইও মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, “দেশে এপিআই উৎপাদন না হওয়ায় রপ্তানির সময় আন্তর্জাতিক বাজারে অন্য দেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।”

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface