মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
কক্সবাজারে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে মেডিপ্লাস কোম্পানির কর্মকর্তা আনোয়ার হোছাইন (৩৫) নিহত। গত ২২ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বাসটার্মিনাল বিএডিসি খামার সংলগ্ন ( বাসটার্মিনাল ও বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যে )সড়কে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আনোয়ার বগুডা জেলার আদমদীঘির তবিবুর রহমানের ছেলে। পথচারী শাফায়েত জানান,সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএডিসি খামারের সডকের পাশে ছুরিকাহত এক ব্যক্তিকে দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে দেখার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন।নিহত আনোয়ারকে বুকে ও শরিরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়।জানা যায় ইতিপূর্বে মেডিপ্লাসের আরো দুই কর্মকর্তা একই স্থানে এই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে প্রানে বেঁচে গিয়েছিল।প্রতিনিয়ত আরো অনেকে একই স্থানে ডাকাত ও ছিনতাইয়ের আক্রমণের স্বীকার হয়েছে এবং খুন হয়েছে।এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা সহ কার্যকরী পদক্ষপ দেখতে চাই।বাসটার্মিনাল ও রুমালীর ছড়ায় ২টি পুলিশ ফাঁড়ি থাকার পরও কেন এসব বন্ধ হচ্ছে না জনগনের কাছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। টহল পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ও বাজে মন্তব্য করতে শুনা যাচ্ছে। সামনের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের আইন শৃঙ্খলা কমিটির বেঠকে বিষয়টি নিয়ে স্থায়ী সমাধানের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহনের জোর দাবী সর্বমহলের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান,সদর মডেল থানায় আবারো দালালদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।দালালদের কারনে এসব ছিনতাইকারী ও বিভিন্ন মামলার আসামীরা পার পেয়ে যায়।পুলিশের অভিযানের কথা দালালরা আগেই জেনে অপরাধীদের সর্তক করে দেয়।এটার জন্য থানার দালালরা তাদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেন।সচেতন মহলের দাবী দালাল নই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত ছিনতাইকারীদের আটক করা হোক।না হলে পর্যটন মৌসুমে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামতে পারে।অন্যতায় এ খুনের দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার অনুরোধ করা হয় সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।