এশিয়ায় ওয়াশিংটনের প্রধান সামরিক বিমান পরিবহন কেন্দ্র জাপানের ইয়োকোটা বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার জড়ো করা হয়েছে মার্কিন সামরিক পরিবহন বিমান।
এর মধ্য দিয়ে সম্ভাব্য শত্রু ও মিত্রদের যুক্তরাষ্ট্র দেখাতে চাচ্ছে যে করোনাভাইরাসের জরুরি অবস্থার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র মিশন চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ঘাঁটির উপ-কমান্ডার কর্নেল জেসন মিলস বলেন, এটা দিয়ে সম্ভাব্য শত্রু-মিত্রদের জাপানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ও মিশন পরিচালনায় আমাদের সক্ষমতার গুরুত্ব বোঝাতে চাচ্ছি।
উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে এয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ এশীয় মিত্র দেশটিকে রক্ষায় জাপানে অবস্থান করছে মার্কিন বাহিনী। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও রয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ঠেকাতে মরিয়া ওয়াশিংটন। সামরিক বাহিনীর মধ্যে ভাইরাসটির প্রকোপে কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, এ অঞ্চলে মার্কিন শক্তি-সামর্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে বেইজিং।
দ্য জাপান ফোরাম ফর স্ট্যাটেজি স্টাডিজের গবেষক ও মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক কর্নেল গ্রান্ট নিউজহ্যাম বলেন, যখন আমরা কোভিড-১৯ প্রসূত ঘরোয়া বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছি, তখন বিদেশি বিষয়গুলোতে খুব একটা বেশি মনোযোগ দেয়া সম্ভব না।
সেনা ও সরঞ্জাম এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চলাচলে পরিবহন হিসেবে কাজ করে সি-১৩০ পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টারসহ ইয়োকোটার বিমান শাখা। এখন ইয়োকোটাসহ জাপানের সব ঘাঁটিতে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দেশটির সবচেয়ে বড় মার্কিন সেনা জমায়েত রয়েছে জাপানে। পশ্চিম টোকিওর ঘাঁটিতে অবস্থান করা সেনাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও মাস্ক পরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।