লাইফস্টাইল ডেস্ক
মিষ্টি স্বাদ, নরম টেক্সচার এবং পুষ্টিগুণ—সব মিলিয়ে খেজুর এমন একটি ফল যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রধান খাদ্য উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু রোজায় শক্তি জোগানোই নয়, প্রতিদিনের জীবনে খেজুরের নানা উপকারিতা আছে, যা সুস্থ জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা—গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ—দ্রুত শক্তি বাড়ায়। ব্যস্ত দিনের মাঝেই হোক বা শরীর ক্লান্ত, কয়েকটি খেজুর দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনে।
খেজুরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে।
খেজুরে ভিটামিন বি৬, কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ থাকার কারণে খেজুর হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। বয়স্ক মানুষ বা শিশু—সব বয়সেই হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি উপকারী।
খেজুরে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর সুরক্ষা দেয় ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া প্রসবের সময় সহায়ক হতে পারে। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয় এবং জরায়ুর কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
খেজুরে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন, তাঁদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা উপকারী।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন খেজুরকে করে তুলেছে প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার সাপোর্ট। এটি ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই উত্তম।