1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গি কায়দায় হামলা আসিফ মাহমুদকে ঘিরে হুমকিমূলক মন্তব্য: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক কমেন্ট ঘিরে উদ্বেগ বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী কোমায় পাকিস্তানে উত্তেজনা চরমে: পাঞ্জাব সংসদে পিটিআই নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস, ইমরানের পরিবারে বিক্ষোভ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিরোধ মৌলভীবাজারে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি শেখ মুজিবের মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে অস্বীকার করতে পারব না : নুর ডিসেম্বর ১৯৭১–এ মৌলভীবাজারে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অস্ত্র জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে

গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গি কায়দায় হামলা

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

সম্পাদক: মুহাম্মদ জাকির হোসাইন

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সহিংসতার নতুন একটি ধারা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘টার্গেট কিলিং’-এ জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, আন্দোলনকারী ও বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতা হারানোর পর দলটির একটি অংশ সংগঠিতভাবে সহিংস পথ বেছে নিয়েছে, যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক গুলিবর্ষণ, হুমকি, পরিকল্পিত হামলার ঘটনা সামনে আসছে। এসব হামলার ধরন দেখে অনেকেই একে ‘জঙ্গি কায়দার’ সঙ্গে তুলনা করছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে নির্বাচনী প্রচারণা বা জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় গুলি চালানো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া—এসবই পরিকল্পিত ভয় সৃষ্টি ও প্রতিপক্ষকে দমনে সহিংস কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। রাজনৈতিক মত প্রকাশ বা বিরোধিতাকে দমন করতে এ ধরনের পন্থা গ্রহণ রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

বিশেষ করে উদ্বেগের বিষয় হলো—এই সহিংসতায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উৎস। শেখ হাসিনা সরকার পতনের সময় দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, অস্ত্রাগার লুট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভাঙন ঘটে বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা রয়েছে। বিশ্লেষকদের একটি অংশ মনে করেন, সে সময় লুট হওয়া অস্ত্র এখন অবৈধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তা গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন। যদি সত্যিই রাষ্ট্রীয় অস্ত্র জঙ্গি বা রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যবহৃত হয়, তবে তা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ভয়ানক সংকেত।

টার্গেট কিলিংয়ের অভিযোগ শুধু ব্যক্তিগত হামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আতঙ্কিত ও অকার্যকর করে তোলার একটি কৌশল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। ভয় সৃষ্টি করে নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করা, ভিন্নমত দমন করা এবং জনমনে অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে দেওয়াই এর মূল লক্ষ্য বলে মনে করছেন অনেকে। ইতিহাস বলে, যখন কোনো রাজনৈতিক দল গণসমর্থন হারায়, তখন একটি অংশ সহিংস পথ বেছে নিতে পারে যা শেষ পর্যন্ত দল ও দেশের উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

তবে এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার ছাড়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো—আইনের শাসন নিশ্চিত করা, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় আনা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে সহিংসতা থেকে সরে এসে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসা।

সবশেষে বলা যায়, টার্গেট কিলিং ও জঙ্গি কায়দার সহিংসতা কোনো রাজনৈতিক সংকটের সমাধান নয়। বরং এটি রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিপন্ন করে এবং গণতন্ত্রকে পিছিয়ে দেয়। তাই লুট হওয়া অস্ত্রের ব্যবহার, সহিংসতার নেটওয়ার্ক ও এর পেছনের শক্তি চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াই এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface