আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানে নারীদের কাজের সুযোগ আরও সংকুচিত করছে তালেবান সরকার। সম্প্রতি কাবুলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরোয়া বিউটি পার্লারে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে একের পর এক পার্লার বন্ধ করে দিয়েছে নৈতিকতা পুলিশ। এতে বিপাকে পড়েছেন এই পেশায় যুক্ত বহু নারী, যারা পরিবার চালাতে সম্পূর্ণভাবে এই আয়ের ওপর নির্ভরশীল। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানের নৈতিকতা পুলিশ বাসাবাড়িতে পরিচালিত পার্লারে প্রবেশ করে সরঞ্জাম জব্দ করছে এবং পরিবারের সদস্যদের দিয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করাচ্ছে—যাতে তারা ভবিষ্যতে এ কাজ না করেন। অভিযানের সময় মোবাইল ফোন তল্লাশি করাও হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক নারী বিউটিশিয়ান আফগান টিভিকে বলেন, “তালেবান কর্মকর্তারা আমাদের সরঞ্জাম নিয়ে গেছে এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছে—আবার কাজ শুরু করলে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হবে।”
গত বছরের জুলাইয়ে তালেবান প্রকাশ্যে সব বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর থেকে অনেকে ঘরোয়া পরিবেশে গোপনে সেলুন চালাতেন। কিন্তু এবার অভিযান আরও কঠোর; এমনকি নারীদের পুরুষ আত্মীয়দেরও স্থানীয় কার্যালয়ে ডেকে লিখিত গ্যারান্টি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
কিছু নারী অভিযোগ করেছেন, অভিযানের সময় কিছু তালেবান এজেন্টের আচরণ ছিল ‘অনুপযুক্ত’। এছাড়া, ঘুষ নিয়ে পার্লার চালাতে দেওয়া হলেও পরে একই স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে আটক করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি পাওয়া যেত; কিন্তু এবারের কড়াকড়ি সেই সুযোগও কমিয়ে দিয়েছে, ফলে নারীদের কাজ ও আয়—দুটোই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।