অনলাইন ডেস্ক
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এই কমিশনগুলোর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে গঠিত এই পাঁচটি কমিশন ৩ অক্টোবর তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদনের জন্য মূলত ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা ২ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠিত হয় ৬ অক্টোবর এবং তাদের প্রতিবেদনের সময়সীমা ছিল ৫ জানুয়ারি।
গত ৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম ধাপের ছয়টি কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
এই কমিশনগুলো তাদের সুপারিশমালা প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন উপায়ে মতামত সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত আহ্বান, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ পরিচালনা এবং লিখিত মতামত গ্রহণ। এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সুপারিশ তৈরি প্রক্রিয়া চলছে।
কমিশনগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে গত ১৮ নভেম্বর গঠন করা হয়েছে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন তাদের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পেয়েছে।