1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের “আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাওয়া কি উচিত নয়?” — প্রশ্ন এনসিপি নেতা সারজিস আলমের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মামলায় ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের শুনানি শুরু সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশের অভিযান ব্যর্থ জঙ্গি সংঘঠন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ, বিচার চলবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সম্প্রতি কাপল ভিডিওর প্রভাবে অনেক পরিবারে ভাঙ্গন ইমিগ্রেশন পার হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান

বাংলাদেশী ক্রেতার অভাব অনুভব করছেন কোলকাতার ব্যাবসায়ীরা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

সি ডব্লিও রির্পোট:
বাংলাদেশী ক্রেতার অভাবে মাথায় হাত উঠেছে কোলকাতার ব্যাবসায়ীদের। বাংলাদেশী ক্রেতার অভাবে এত বাজে অবস্থা তারা বিগত ১৪৪ বছরে কখনো দেখেনি চিন্তা করা যায়? কোলকাতার শুধু নিউমার্কেটে দৈনিক বিক্রি হত ৭ কোটি রুপি। যার অর্ধেক আসত শুধু বাংলাদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে। সেই হিসাবে কোলকাতার শুধু এই একটি মার্কেটে বাংলাদেশিরা প্রতি বছর খরচ করে ১৫০০ কোটি টাকা”কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা অঞ্চলে ১৪৪ বছরের পুরনো নিউ মার্কেট মহামারীর আবহে ধুঁকছে আর ব্যবসার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক দোকান। প্রায় ২ হাজার ৩০০ দোকান আছে এই নিউ মার্কেটে এবং জামা-কাপড় থেকে শুরু করে প্রসাধনী সবই পাওয়া যায় এই নিউ মার্কেটে।বাংলাদেশ থেকে যারা কলকাতায় কোনো কাজে আসেন তারা মূলত এই নিউ মার্কেটের আশেপাশে মির্জা গালিব স্ট্রীট বা সাডার স্ট্রীট অঞ্চলের হোটেলে থাকেন। আর বাংলাদেশি মানুষদের পছন্দের কেনাকাটার জায়গাই হলো এই নিউ মার্কেট।স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিদিন যদি ৫০ হাজার ক্রেতা নিউ মার্কেটে আসেন, তার প্রায় ৪০ শতাংশ বাংলাদেশের মানুষ। এবং দৈনিক গড় ব্যবসা যদি প্রায় সাত কোটি ইন্ডিয়ান রুপি হয়, প্রায় তার ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি ক্রেতাদের থেকে আসে। করোনার কারণে তারা আসছেন না। আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ, জানালেন দেবু ভট্টাচার্য, যিনি নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক।ভারতে লকডাউনের পরবর্তী সময়ে দোকানপাট, শপিংমল খোলার সঙ্গে সঙ্গে নিউ মার্কেটও খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু গত ৪৫ দিনে নিউ মার্কেটে কোনো ব্যবসাই হয়নি আর তাই আবার দোকান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী।ব্যবসায়ী শিব শংকর নন্দন জানালেন, নিউ মার্কেটে তাদের তিন প্রজন্মের ঘড়ির দোকান। ‘আজ সারা দিনে একজন মাত্র কাস্টমার এসেছিলেন… দোকান খোলা রাখলে আমাকে কর্মচারীদের দৈনিক বেতন দিতে হয়। তারপর অন্য খরচ আছেই। বিক্রি না হলে দোকান খুলে রাখা মুশকিল বলে তিনি জানান।অনুরূপ সমস্যার কথা শোনালেন ইলেকট্রনিক জিনিসের দোকানদার সুরেশ সাউ। সারা দিন দোকান খুলে রেখে তিনি বিক্রি করেছেন কেবল একটি লাইটার। তিনি বলেন, এইভাবে তো আর চলতে পারে না।এ অবস্থায় প্রতিদিন কিছু কিছু দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দেবু বাবু জানালেন, নিউ মার্কেটের ১৪৪ বছরের ইতিহাসে এমন দুর্দিন আগে কখনো আসেনি।পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে জানি না, তবে বাংলাদেশ থেকে মানুষ ভারতে আসা শুরু করলে আমাদের আবার কিছু ব্যবসা হবে’ জানালেন কসমেটিকসের দোকানদার কাদের খান।

Share this Post in Your Social Media

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface