আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের জামনার তালুকের চোটি বেতাওয়াড় এলাকায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন সুলেমান রহিম (২১) নামের এক মুসলিম তরুণ। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করায় তার মা, বোনসহ পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয়েছে।
সুলেমান সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করা একজন তরুণ, যিনি সম্প্রতি পুলিশে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। বাসায় ফেরার পর ১৫ জনের একটি উগ্রপন্থী দল তার বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তাদেরও পেটানো হয়।
পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা সুলেমানকে গাড়িতে তুলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে লাঠি, রড ও ঘুষি-মুষ্টি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে বাড়ির কাছাকাছি ছেড়ে আবার দৌড়ে দৌড়ে মারধর করে তার দেহ নিথর করে ফেলে। পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের মতে, ঘটনাটির আগে এক ক্যাফেতে সুলেমানকে হুমকি দিয়েছিল একই দল। তখন তিনি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীর সঙ্গে বসেছিলেন।
সুলেমানের পরিবার জানায়, তার শরীরের প্রতিটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার বাবা রহিম খান বলেন, “ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও, আমার স্ত্রী ও মেয়েও মারধরের শিকার হয়েছি।”
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ও রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরা অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সোমবার জামনার থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
জলগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মহেশ্বরী রেড্ডি জানান, ঘটনায় হত্যা, অপহরণ, দাঙ্গা ও অবৈধ গ্যাং গঠনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার এবং আরও ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।