দেশের চিত্র ডেস্ক
রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৪৭) হত্যাকাণ্ডে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মো. জনি ভূঁইয়া নামে এক যুবক। পুলিশের দাবি, হত্যার পর পালানোর সময় স্থানীয় লোকজন জনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে জনির এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, আসামিকে আদালতে হাজির করার পর তিনি স্বীকারোক্তি দিতে সম্মতি প্রকাশ করলে তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হানিফ আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ‘সি’ ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার দোকানের ভেতরে গোলাম কিবরিয়াকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়। আজ সকালে নিহত কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার পল্লবী থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭–৮ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
চিহ্নিত আসামিরা হলেন—
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া প্রায়ই বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে তাঁর বন্ধু মাসুদ রানার সঙ্গে বসতেন। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে ঢুকে কিবরিয়াকে টার্গেট করে গুলি করেন জনি ভূঁইয়া, সোহাগ কালু ও রোকন। হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন সোহেল ও মাসুম।
কিবরিয়ার চোয়াল, গলা, ঘাড়, কান ও বুকে একাধিক গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পালানোর সময় জনিকে স্থানীয় লোকজন আটক করলেও অন্য আসামিরা সরে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিনজন দুর্বৃত্ত সেখানে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করেন। তাদের কারও পরনে ছিল পাঞ্জাবি, বাকিদের শার্ট; সবার মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল।
দোকানে তখন নয়জন ছিলেন। দুর্বৃত্তরা ঢুকেই গুলি চালাতে থাকলে ভয়ে সবাই বেরিয়ে যান। কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে একজন তাঁকে কাছ থেকে আরও তিনটি গুলি করে দ্রুত বেরিয়ে যায়।