1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পাকিস্তানে উত্তেজনা চরমে: পাঞ্জাব সংসদে পিটিআই নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস, ইমরানের পরিবারে বিক্ষোভ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিরোধ মৌলভীবাজারে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি শেখ মুজিবের মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে অস্বীকার করতে পারব না : নুর ডিসেম্বর ১৯৭১–এ মৌলভীবাজারে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অস্ত্র জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে ২০২৪ সালের আগস্টের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে দুর্নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থান জানালেন তারেক রহমান ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি সাবেক বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ কাশেম নগর এলাকার কথিত ‘রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি’ এখন পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি খাসজমিতে অনুমতি ছাড়াই কোটি টাকার এই বাংলোবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অপরিচিত লোকজনের সন্দেহজনক আনাগোনা ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে।

স্থানীয়রা জানান, আমেরিকা প্রবাসী সুনামগঞ্জের ২৬ বছর বয়সী যুবক হাসান আহমদ তাঁর কথিত বন্ধু মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আনোয়ারের মাধ্যমে বাংলোবাড়িটি নির্মাণ করেন। কিন্তু বাড়িটি নির্মাণের পর থেকেই এলাকায় অচেনা লোকদের আড্ডা, অসামাজিক কর্মকাণ্ড—এসব নিয়ে স্থানীয় তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি তদন্তে বড়লেখা থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত) এবং পুলিশের একটি দল বাংলোবাড়িতে যান। পুলিশ আসলে স্থানীয়রা ঘর ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান।

পুলিশ জানায়, সরকারি খাসজমিতে বাড়ি তৈরি, টিলা কাটা ও গাছপালা নিধনের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি প্রবাসী হাসান আহমদ। ফলে বাড়িটি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এখন গোয়েন্দা নজরদারির আওতায়। অভিযানের সময় আনোয়ারকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে প্রবাসী হাসান আহমদ অভিযোগ করেন, আনোয়ারকে বিশ্বাস করেই তিনি চার কোটি টাকা দিয়ে জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। জুলাই মাসে দেশে ফিরে এসে তিনি দেখেন, নির্মাণকাজে অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়নি। এ কারণে দু’জনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। তাঁর দাবি, আনোয়ার তাঁর ১৩ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে পুলিশ বলছে, বাড়ি নির্মাণ, জমি দখল ও অর্থ লেনদেনসহ পুরো ঘটনাটি গোয়েন্দা সংস্থার আগেই নজরে ছিল। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface