অনলাইন ডেস্ক
রংপুরের তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে স্থানীয়দের পিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন রূপলাল রবিদাস (৪০) ও তার ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস (৩৮)। কাকুতি-মিনতি সত্ত্বেও নির্মম মারধর থেকে রেহাই মেলেনি তাদের। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের স্থানীয় বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে পেটানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান রূপলাল, আর গুরুতর আহত প্রদীপকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন রূপলাল ও প্রদীপ। পথে কয়েকজন স্থানীয় লোক তাদের থামিয়ে ব্যাগ তল্লাশি করে প্লাস্টিক বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় ও কিছু ওষুধ পায় বলে দাবি করে। মুহূর্তেই তাদের ভ্যানচোর সন্দেহে মারধর শুরু হয়।
নিহতদের পরিবার জানায়, রূপলাল তার মেয়ের বিয়ে নিয়ে আলোচনার জন্য প্রদীপকে ডেকেছিলেন। পথে প্রদীপ পথ হারিয়ে বটতলা এলাকায় পৌঁছালে রূপলাল তাকে আনতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন।
ঘটনার পর রবিবার দুপুরে রূপলালের স্ত্রী মালতী রানি দাস থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় বেলতলী এলাকায় লাশ নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গুজব ও সন্দেহের ভিত্তিতে গণপিটুনির ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। রূপলাল ও প্রদীপের মৃত্যু আবারও প্রশ্ন তুলেছে—এভাবে আর কত নিরীহ প্রাণ ঝরবে?
https://shorturl.fm/9kaNL
https://shorturl.fm/XjVok
https://shorturl.fm/g6R5r