অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের বাসায় ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তাঁর ছোট ছেলে নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বিচারকের স্ত্রী। হামলার পর স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ মিলে ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ডাবতলা এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত তাওসিফ রহমান (১৫) নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আটক হামলাকারীর নাম লিমন মিয়া। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, লিমনের বাবা এইচএম সোলায়মান শহিদ, যিনি ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান জানান, “দুপুরের দিকে লিমন বিচারকের বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে বিচারকের স্ত্রী ও ছেলে গুরুতর জখম হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাওসিফ মারা যায়।”
হামলার উদ্দেশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, লিমন কেন এবং কী উদ্দেশ্যে বিচারকের বাসায় প্রবেশ করেছিলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। বাসার ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে মামলা প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, “এটি পরিকল্পিত হামলা কিনা, নাকি ব্যক্তিগত কোনো মানসিক বা সামাজিক কারণ রয়েছে — সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এদিকে, বিচারকের পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আদালতপাড়া ও আইনজীবীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
নিহত তাওসিফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মায়ের অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।