গত সপ্তাহের লাদাখে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে পিপলস লিবেরেশন আর্মি বা পিএলএ-র কতজন সেনা হতাহত হয়েছেন সে বিষয়ে কোনও তথ্যই দিতে চাইছেনা বেইজিং। গালওয়ানে সেনা সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য তাদের কাছে কোনও তথ্যই নেই বলে এদিন সাফ জানানো হয় চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।
কূটনৈতিক আলোচনাতেই গালওয়ান সমস্যা মেটাতে চায় চিন
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান বেইজিংয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানান সামরিক ও কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই ভারত ও চিন বর্তমানে গালওয়ান সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে। যদিও গত সোমবার রাতে দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে আদপেই কতজন মারা যান সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
চিনের দিকে ৪০-র বেশি সেনা মৃত্যুর খবর মেলে
যদিও এই সাংবাদিক বৈঠকেই ভারতের তরফে বলা চিনের সেনা মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। যদিও এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ভি কে সিং জানান লাদাখের ওই সেনা সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে এক কর্নেলও রয়েছেন। একইসাথে লালফৌজেরও ৪০-র বেশি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সেনার হাতে।
সেনা মৃত্যু নিয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই , সাফ জবাব চিনা মুখপাত্রের
এই প্রসঙ্গে ঝা লিজিয়ানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান, ” এই বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।” যদিও একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, চিনা সংবাদমাধ্যম ও মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গালওয়ানের ওই সেনা সংঘর্ষে ৪৩ জনের বেশি পিএলএ সেনা জওয়ান হতাহত হয়েছেন। যদিও এই ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্কের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেই চিন সাবধানী পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই ওই সেনা সংঘর্ষে আদপে কত জন সেনা হতাহত হয়েছে সেই তথ্য সামনে আনছে না চিন।
সেনা হাতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করলে চাপের মুখে পড়বে ভারত, দাবি চিনা সংবাদমাধ্যমের
এদিকে অন্যদিকে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস, হতাহতের কথা স্বীকার করে জানায় ভারতকে বাড়তি চাপের মুখে না ফেলতেই চিন হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করছে না। এই প্রসঙ্গে গ্লোবাল টাইমস টুইটারে লেখে, “চিনের হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ না করার কারণটি হ’ল চিন এই বিষয় আর বাড়তি কোনও সংঘাত চায়না। চিনের দিকে সেনা মৃত্যুর সংখ্যা যদি ২০-র কম হয়, তবে ভারত সরকার আবারও চাপের মুখে পড়বে।”