অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিশুরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে খুব অল্প বয়স থেকেই। কখনও পাঠদানের অজুহাতে, কখনও বা চুপ করিয়ে রাখতে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল। কিন্তু নিয়মিত মোবাইল ব্যবহারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে—এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লায়লা নূর বলেন, “অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে শিশুর চোখের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত, মনোযোগে ঘাটতি এবং আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ৫ বছরের নিচে যেসব শিশু নিয়মিত স্ক্রিনের সামনে সময় কাটায়, তাদের ভাষা শেখা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক আচরণে সমস্যা দেখা যায়।”
তিনি জানান, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে শিশুর দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে চোখে শুষ্কতা, জ্বালা বা চোখ লাল হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এছাড়া মোবাইলের বিকিরণও দীর্ঘমেয়াদে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদা ইসলাম বলেন, “অনেক বাবা-মা সন্তানকে শান্ত রাখার জন্য মোবাইল হাতে দেন। এতে সাময়িকভাবে উপকার হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি শিশুকে আত্মকেন্দ্রিক, আবেগ নিয়ন্ত্রণে অক্ষম ও মেজাজ খিটখিটে করে তুলতে পারে। এমনকি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আসক্তি তৈরি হলে তা ভবিষ্যতে অন্য আসক্তির প্রবণতা তৈরির ঝুঁকিও বাড়ায়।”
ডা. লায়লা নূর পরামর্শ দেন, “শিশুর বিকাশের জন্য মুখোমুখি সময় কাটানো, গল্প বলা, শারীরিক খেলাধুলা ও প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো সবচেয়ে বেশি জরুরি। মোবাইল যেন কখনোই শিশুর বিকল্প অভিভাবক না হয়ে ওঠে।”