1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপিকে হাসনাতের ইঙ্গিত: কাবিনে স্বাক্ষর করেছেন, সংসারও করতে হবে কুলাউড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা জুলাই সনদে শেখ মুজিবের ছবি টাঙানোর বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়নি, বিএনপির ক্ষোভ সংঘর্ষের রাজনীতি করলে আবার হাসিনার আমলে ফেরত যেতে হবে দুর্লভপুর ইউনাইটেড ক্লাবের নতুন কার্যকরী পরিষদ ঘোষণা – ২০২৫-২০২৭ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি শিশুকে চড়, বাবাকে গ্রেফতার: জেনেভা ক্যাম্পের ঘটনায় তদন্ত শুরু পারমাণবিক শক্তিতে চীন কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলছে রংপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা রাজধানীর মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু, সাক্ষ্য দিলেন আহত আন্দোলনকারী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছরের জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত গণ–অভ্যুত্থনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। রবিবার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ মামলার সূচনা বক্তব্য ও প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচারকাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়।

মামলার প্রেক্ষাপট ও আসামির তালিকা

এই মামলায় প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং তৎকালীন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তাঁদের পক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন। একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ ইতিমধ্যে অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য

মামলার সূচনায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “জুলাই বিপ্লবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গু ও দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। এসবের পেছনে মূল দায়ী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর অধীন নেতৃত্ব।”

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “আসামি শেখ হাসিনা ছিলেন সরকারের একক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। আন্দোলন দমনে যৌথ অপরাধমূলক পরিকল্পনার আওতায় প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডাররা প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।”

সাক্ষ্য: বিকৃত মুখের বাস্তব কাহিনি

প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মাইক্রোবাসচালক খোকন চন্দ্র বর্মণ, যিনি গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বলেন, “সাইনবোর্ড থেকে ঢাকার পথে আসার সময় পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ফ্লাইওভারের নিচে পিলারের আড়ালে লুকালেও গুলি থামেনি। আমার হাত-পা ও মুখে গুলি লাগে। মুখ বিকৃত হয়ে গেছে।”

তিনি আরও জানান, চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়, যেখানে তাঁর মুখ থেকে গুলি অপসারণ করা হয়।

আদালতে মুখে গুলির ক্ষত প্রকাশ করে খোকন বলেন, “শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমান—এই পাঁচজন আমার ক্ষতির জন্য দায়ী।”

জেরা ও প্রতিপক্ষের প্রশ্ন

পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন জেরা করে জানতে চান, “আপনি শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন, তার প্রমাণ কী?” খোকনের জবাব ছিল, “না, লিখিত দলিল নেই, তবে আমি নিজ চোখে যা দেখেছি, তার ভিত্তিতেই বলছি।”

আইনজীবীর দাবি ছিল, আন্দোলনকারীরাই পুলিশের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছিল। খোকন তা অস্বীকার করেন।

চারটি মামলায় আসামি শেখ হাসিনা

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও তিনটি মামলা চলমান। এর মধ্যে একটি মামলায় তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি মামলায় যথাক্রমে ১২ আগস্ট ও ২৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।

Share this Post in Your Social Media

One response to “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু, সাক্ষ্য দিলেন আহত আন্দোলনকারী”

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface