সিলেট প্রতিনিধি
বিয়ানীবাজার পৌরশহরের পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত যুব ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার–গোলাপগঞ্জ) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ডাকসু জিএস এসএম ফরহাদ ছিলেন বিশেষ অতিথি।
সমাবেশে আবেগপূর্ণ কণ্ঠে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, বিয়ানীবাজার–গোলাপগঞ্জকে স্বপ্নের জনপদ হিসেবে গড়ে তোলাই তার লক্ষ্য। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এলাকায় বৈষম্যের কোনও স্থান থাকবে না; সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। দেশের জনসংখ্যার বড় অংশই তরুণ—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবর্তনের প্রধান শক্তি এখন যুবসমাজ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের উদ্যোগ, সামাজিক সচেতনতা, মানবিক কাজ এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতের নতুন দিক নির্দেশনা তৈরি করছে।
তিনি আরও দাবি করেন, “৫৪ বছরের ইতিহাসে বহু সরকার এসেছে-গেছে, কিন্তু এখন দেশের মানুষ জামায়াতকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। সারাদেশে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম বলেন, দলমত নির্বিশেষে সেলিম উদ্দিনকে বিজয়ী করা সময়ের দাবি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাকসুর জিএস এসএম ফরহাদ বলেন, বিভিন্ন সমীক্ষায় ইসলামী দলের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম অন্যায়-দুর্নীতি প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ভুল নেতৃত্ব নির্বাচনের কারণে দেশকে বহুবার রক্ত দিতে হয়েছে। তাই আগামী বাংলাদেশ এমন নেতৃত্বের হাতে দিতে হবে যারা ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সক্ষম।
সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌর জামায়াতের আমীর কাজী জমির হোসাইনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ রুকন উদ্দিন, যুব জামায়াতের উপজেলা সভাপতি শফি আহমদ মুন্না এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবির নেতা আরিফ হোসাইন।
এর আগে বিকাল ৩টায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে বাদ আসর হাজারো নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে একটি বিশাল গণমিছিল পৌরশহর প্রদক্ষিণ করে, যার নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য প্রার্থী সেলিম উদ্দিন।
সমাবেশের শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সেলিম উদ্দিনের উদ্যোগে সম্পন্ন ও অনুমোদিত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রদর্শনী করা হয়। জানানো হয়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার ২৭টি রাস্তা তার মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে, অসহায়দের জন্য বাসস্থান নির্মাণসহ ইউনিয়নভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।