আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যদি অস্ত্র না ফেলে, তবে ‘আমরাই তাদের নিরস্ত্র করবো।’ মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে গাজা যুদ্ধবিরতির চুক্তি উদযাপন করার একদিন পরেই ট্রাম্প এই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘তারা জানে আমি খেলা খেলছি না। এটা খুব দ্রুত হবে এবং সম্ভবত সহিংসভাবেই। ’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হামাসকে বলেছি, তোমরা নিরস্ত্র হবে এবং তারা বলেছে, ‘জি স্যার, আমরা নিরস্ত্র হবো।’ তিনি জানান, এই বার্তা তিনি সরাসরি নয় বরং ‘আমার লোকদের মাধ্যমে’ হামাসের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, হামাসকে নিরস্ত্র করার ক্ষেত্রে কারা অংশ নেবে বা এতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জড়িত থাকবে কি না।
এদিকে হামাস এখন পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়তে রাজি হয়নি, যদিও এটি ট্রাম্পের ২০-দফা যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। আরেকটি বিতর্কিত বিষয় হলো, হামাস সোমবার জীবিত ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনো ২৪ জন মৃত জিম্মির মরদেহ তাদের হেফাজতেই রয়েছে। সোমবার হামাস চারটি মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ইসরায়েলের উগ্র-ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির মঙ্গলবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি হামাস অবশিষ্ট সেনাদের মরদেহ ফেরত না দেয়, তবে গাজায় ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
’ ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, ‘সব ২০ জন জীবিত জিম্মি ফিরে এসেছে এবং তারা যতটা ভালো থাকা সম্ভব, ততটাই ভালো আছে। এক বিশাল বোঝা নামিয়ে রাখা গেছে। তবে কাজ এখনো শেষ হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যেভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেইভাবে মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়নি! দ্বিতীয় ধাপ এখনই শুরু হচ্ছে!!!’ মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে ট্রাম্প ‘একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর’ ঘোষণা দেন। এই সফরে তিনি ও আঞ্চলিক নেতারা গাজা যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে স্থায়ী করতে এক যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। এদিকে গাজার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
সূত্র : আলঅ্যারাবিয়া।