আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ওভাল অফিসে সাক্ষাতের সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে অপ্রত্যাশিত এক প্রশ্ন করে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্প আল-শারাকে উপহার দেন নিজের ব্র্যান্ডের একটি সুগন্ধির বোতল। সেটি হাতে তুলে দিতে দিতে তিনি হেসে জিজ্ঞেস করেন, “আপনার স্ত্রী কয়জন?”
আল-শারা উত্তর দেন, “একজন।” ট্রাম্প তখন মজার ছলে বলেন, “তবে জানেন তো, কখন কী হয় বলা যায় না!” উপস্থিত সবাই তখন হাসিতে ফেটে পড়েন।
এই সফর ছিল আল-শারার আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়ানোর অংশ। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে নতুন বার্তা দিচ্ছেন—তার দল হায়াত তাহরির আল-শাম এখন পশ্চিমা বিশ্বের জন্য হুমকি নয়; বরং তারা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করে নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে।
ওয়াশিংটন সফরের সময় আল-শারাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়। প্রথাগত রাষ্ট্রীয় সম্মান না থাকলেও তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকের একদিন পর সিরিয়া ঘোষণা দেয়—তারা আইসিস-বিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিচ্ছে। এর প্রতিদানে যুক্তরাষ্ট্র ‘সিজার অ্যাক্ট’-এর অধীনে আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞার মেয়াদে ছাড় দেয়।
বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি (আল-শারা) এসেছেন এক কঠিন জায়গা থেকে, আর তিনিও কঠিন মানুষ। আমি তাকে পছন্দ করি।”
উল্লেখ্য, একসময় আহমেদ আল-শারাকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করত এবং তার মাথার ওপর ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে সিরিয়ার স্বাধীনতার পর এটাই প্রথমবার কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউস সফর।