নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকারিতার নিরিখে এখন পর্যন্ত যে ওষুধটিকে সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনাময় বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ‘রেমডেসিভির’-এর উৎপাদন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশটির বেশ কয়েকটি ওষুধ কোম্পানিকে রেমডেসিভির তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।
কভিড-১৯-এর চিকিৎসায় বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত জেনেরিক রেমডেসিভির বাজারজাত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির সম্প্রতি কভিড-১৯ চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার (এফডিএ) জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। বহুল প্রতীক্ষিত এই রেমডেসিভির সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের রেপ্লিকেশন বা বংশবৃদ্ধি রোধে প্রথম কার্যকরী ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
বেক্সিমকো উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের সুস্থ করে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও কোনো দেশে করোনা রোগীদের শতভাগ সুস্থ করে তোলার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ উৎপাদিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেমডেসিভির ওষুধটি কার্যকর হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য এটির অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ওষুধ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করোনাভাইরাস রোগীদের এই ওষুধে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।’
ওষুধের প্রথম ব্যাচ ওষুধ হস্তান্তরের সময় বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য বিনা মূল্যে রেমডেসিভির প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মা শুধু কভিড-১৯ চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতেই রেমডেসিভির (বেমসিভির) সরবরাহ করবে, কোনো ফার্মেসিতে সরবরাহ করবে না। ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনপ্রাপ্তির প্রথম দিনেই বেক্সিমকো ফার্মা বিপুল পরিমাণে রেমডেসিভির (বেনসিভির) কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গিলিয়াড সায়েন্সেস রেমডেসিভিরের উদ্ভাবক। প্রত্যক্ষ অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে রেমডেসিভির ভাইরাসের আরএনএ সংশ্লেষণ প্রতিরোধে সরাসরি কাজ করে। রেমডেসিভির রক্তনালিতে ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। কভিড-১৯-এ গুরুতর অসুস্থ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।