1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের “আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাওয়া কি উচিত নয়?” — প্রশ্ন এনসিপি নেতা সারজিস আলমের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মামলায় ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের শুনানি শুরু সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশের অভিযান ব্যর্থ জঙ্গি সংঘঠন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ, বিচার চলবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সম্প্রতি কাপল ভিডিওর প্রভাবে অনেক পরিবারে ভাঙ্গন ইমিগ্রেশন পার হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান

কক্সবাজারে ভেসে যাওয়া সেতুর দায়িত্ব কেউ নিতে চাইছে না

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০

কক্সবাজার পৌরসভায় একটি নব-নির্মিত বক্স কালভার্ট উদ্বোধনের আগেই ভেঙ্গে যাওয়ায় তা নিয়ে বেশ সমালোচনা তৈরি হয়েছে। তবে সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব কার উপর ছিল, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন।

কক্সবাজার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলছেন, টানা দুইদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ঐ এলাকার একটি নব-নির্মিত কালভার্ট বুধবার ভেঙ্গে পড়ে। সেতুটির কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায় এবং বাকি অংশ সেখানেই বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকে বলে জানান স্থানীয়রা।

তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ব্রিজটি সম্পর্কে তারা কিছু জানে না।

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহি প্রকৌশলী নুরুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই ব্রিজটি কোনো সরকারি প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়নি। হয়তো স্থানীয় কাউন্সিলর স্বপ্রণোদিত হয়ে এলাকাবাসীর জন্য একটি ব্রিজ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু এই ব্রিজ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।”

ভেঙ্গে পড়া ব্রিজটির কাছেই আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে, যেটির নির্মাণের দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের বলে মি.আলম জানান।

স্থানীয় কাউন্সিলর এসএম আখতার কামাল জানান, এই সেতু নির্মাণ সম্পর্কে তিনি অবহিত থাকলেও এটি নির্মাণের দায়িত্ব কোন প্রতিষ্ঠানের ওপর ছিল সেবিষয়ে তিনি জানেন না।

মি. কামাল বলেন, “এই ব্রিজটি আমার তত্বাবধানেই নির্মাণ হচ্ছিল। কিন্তু কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটির নির্মাণের দায়িত্বে ছিল, তা কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে বলতে হবে।”

স্থানীয়ভাবে নির্মাণাধীন একটি সেতু সম্পর্কে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানে না কেন – এই প্রশ্ন করা হলে কাউন্সিলর আখতার কামাল বলেন যে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থগিত থাকার কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি জানে না স্থানীয় প্রশাসন।

কেন ভেঙ্গে পড়লো নতুন ব্রিজটি?

এলাকাবাসীরা বলছে, কালভার্টটি নির্মাণের সময় প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার না করায় সেটি নতুন অবস্থায়ই ভেঙ্গে পড়ে।

তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, ব্রিজের ভৌত অবকাঠামো যথাযথভাবে নির্মাণ করা হলেও ব্রিজ নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফাউন্ডেশন না দেয়ার কারণে পানির উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে ভেঙ্গে গেছে ব্রিজটি।

স্থানীয়দের সাথ কথা বলে জানা যায়, আট ফুট প্রস্থ ও ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের বক্স কালভার্ট জাতীয় ব্রিজটি যেই জলপথের ওপর স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল, সেই পথ দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ নৌকার মাধ্যমে পারাপার করে।

তবে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে পানির উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ভিত্তি দুর্বল থাকা ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙ্গে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাউন্সিলর আখতার কামাল বলেন, “ব্রিজের গোড়ায় যেন পানি না আসে, তা নিশ্চিত করতে বাঁধ দেয়া হয়েছিল। তবে বৃষ্টিতে বাঁধে পানি উঠে যাওয়ার পর স্রোতে ব্রিজটি ভেঙ্গে যায়।”

বাংলাদেশে রাস্তাঘাট, মহাসড়ক, ব্রিজ-কালভার্টের মত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির খবর এর আগেও বহুবার উঠে এসেছে।

নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ নেয়া, যথার্থ খরচের চেয়ে বহুগুণ বেশি খরচ দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের মত ঘটনার খবর বাংলাদেশে একেবারেই নতুন নয়।

তাই উদ্বোধনের আগেই ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সেটি নিয়ে মানুষজনকে সমালোচনার চেয়ে ব্যঙ্গ রসাত্মক মন্তব্য করতেই বেশি দেখা গেছে।

ঢাকা হেল্পলাইন/মাসুম বিল্লাহ

Share this Post in Your Social Media

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface