অনলাইন ডেস্ক
হার্ট অ্যাটাকের সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংকেত দেখা দিতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
- বুকের ব্যথা বা চাপ: বুকের মাঝখানে বা বাম পাশে ভারী চাপ বা জ্বালাপোড়ার মতো ব্যথা অনুভব করা।
- শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- ঘাম: শরীর থেকে ঠান্ডা ঘাম বের হওয়া।
- ক্লান্তি: অস্বাভাবিক দুর্বলতা বা অবসাদ অনুভব করা।
- বমি বমি ভাব বা বমি: অনেক সময় পেটের অস্বস্তি বা বমি হতে পারে।
- হাত, পিঠ, চোয়াল, বা গলায় ব্যথা: বিশেষ করে বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া।
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: হৃৎপিণ্ডের গতি হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বা ধীর হয়ে যাওয়া।
কেন হার্ট অ্যাটাক হয়:
হার্ট অ্যাটাক মূলত হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে ঘটে। প্রধান কারণগুলো হলো:
- করোনারি ধমনির ব্লকেজ:
- হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনিগুলোতে প্লাক জমে ব্লক তৈরি হয়।
- রক্ত জমাট বাঁধা (থ্রম্বাস):
- ধমনির ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে দেয়।
- উচ্চ রক্তচাপ:
- দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ ধমনির ক্ষতি করে।
- কোলেস্টেরল:
- উচ্চ মাত্রার খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) ধমনিতে প্লাক গঠনে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস:
- রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ধমনির ক্ষতি হয়।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল:
- ধূমপান রক্তনালী সংকুচিত করে এবং ব্লকেজের ঝুঁকি বাড়ায়।
- মানসিক চাপ:
- দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে।
- পরিবারের ইতিহাস:
- পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হার্টের সমস্যা থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।
প্রতিরোধের উপায়:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া (সবজি, ফল, কম চর্বিযুক্ত খাবার)।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- মানসিক চাপ কমানো।
আপনার হার্ট সুস্থ রাখতে এই বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি।
Post Views:
83