1. info220@noreply0.com : anyamoorhouse1 :
  2. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লিসবনে পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নর্থ ইংল্যান্ড বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় পোল্যান্ডে রুশ ড্রোন হামলা ‘ইচ্ছাকৃত’, অভিযোগ জেলেনস্কির সিলেটে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, অপমৃত্যু মামলা হাটহাজারীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্নিদের সংঘর্ষে আহত ২০০, পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি একটিমাত্র ভুলে প্রিয় চা হয়ে উঠতে পারে বিষ! সিরাতুন্নবী (সা.): মানবতার চিরন্তন আদর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন ড্রেস কোড: জিন্স-গ্যাবাডিন নয়, নিষিদ্ধ শর্ট স্লিভ ও লেগিংস জার্মানির এসেনে শিক্ষককে ছুরিকাঘাত: গ্রেপ্তারের সময় ১৭ বছরের সন্দেহভাজন গুলিবিদ্ধ

AI ২০৫০ সালের ভাবনা: প্রযুক্তির জয়যাত্রা না মানবিক বিপর্যয়?

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

সম্পাদক : মুহাম্মদ জাকির হোসাইন

২০৫০ সাল—একটি সংখ্যা মাত্র নয়, বরং একটি দিগন্ত, যেখানে মানবজাতির প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের মুখোমুখি হওয়ার কথা। এই ভবিষ্যতের কেন্দ্রে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। আজ আমরা যে AI-কে কেবল তথ্য বিশ্লেষণ, চ্যাটবট বা ছবি চিনতে ব্যবহার করছি, আগামী দিনে সেই AI-ই হবে সমাজের চালিকাশক্তি। প্রশ্ন হচ্ছে—এই পথ কি আমাদের সভ্যতাকে আরও মানবিক করবে, না কি মানুষকেই মেশিনের ছায়ায় বিলীন করে দেবে?

এআই যতই বুদ্ধিমান হচ্ছে, ততই তা মানবিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা অর্জন করছে। ২০৫০ সালে একটি AI যদি আদালতের রায় দেয়, কিংবা অস্ত্রের ট্রিগার টানে, কিংবা সন্তানকে শেখায়—তাহলে সেই AI-এর নৈতিক ভিত্তি, পক্ষপাতহীনতা ও দায়িত্ববোধ কে নির্ধারণ করবে?

একদিকে AI আমাদের জীবন সহজ করে দিচ্ছে। চিকিৎসা, কৃষি, শিক্ষা এমনকি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও AI ইতিমধ্যেই বিপ্লব ঘটাচ্ছে। ২০৫০ সালে ক্যানসার শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মহাকাশ অভিযানে AI হবে নির্ভরতার নাম। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য AI হতে পারে ঘুরে দাঁড়ানোর হাতিয়ার—যদি তার ব্যবহার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

অন্যদিকে রয়েছে গভীর শঙ্কা। প্রচলিত চাকরি হারানোর আশঙ্কা, গোপনীয়তার সংকট, তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’-এর ভয়—যা মানুষের ক্ষমতার ঊর্ধ্বে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি একটি AI নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, তাহলে তার দায়ভার কে নেবে? এই প্রশ্নই আজ নীতিনির্ধারকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে।

বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে শিক্ষা, দক্ষতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে এখনও বৈষম্য প্রকট, সেখানে AI-ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নেওয়া আরও জরুরি। শুধুমাত্র প্রযুক্তি আমদানি নয়, নিজেদের মতো করে ‘নৈতিক প্রযুক্তি’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। তৈরি করতে হবে এমন এক AI-ভবিষ্যৎ, যা হবে স্বচ্ছ, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।

২০৫০ সাল খুব দূরে নয়। আজ যে শিশু প্রথমবার মোবাইল হাতে নিচ্ছে, সেই শিশু তখন চাকরির বাজারে থাকবে। সে কি মেশিনের সঙ্গে কাজ করবে, না মেশিন তাকে নিয়ন্ত্রণ করবে—সেই উত্তর নির্ভর করছে আজকের সিদ্ধান্তের ওপর।

প্রযুক্তিকে ভয় নয়, তাকে নিয়ন্ত্রণ করেই গড়ে তুলতে হবে এক মানবিক আগামী। AI যেন মানুষের সহায়ক হয়, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়—এই হোক আমাদের ২০৫০ সালের মূল ভাবনা।

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface