অনলাইন ডেস্ক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতার আকস্মিক কক্সবাজার সফর ঘিরে চলছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা। আগাম কোনো ঘোষণা ছাড়া আগমন, প্রথমে বিলাসবহুল রিসোর্টে অবস্থান এবং পরদিন হোটেল পরিবর্তনের ঘটনায় শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। সফরের প্রতিটি ধাপে গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারি স্পষ্ট।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে পৌঁছান হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ডা. তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ। ইনানীর ‘সী পার্ল রিসোর্টে’ উঠলেও বুধবার হঠাৎ করেই তারা স্থান পরিবর্তন করে শহরের ‘প্রাসাদ প্যারাডাইস’ হোটেলে চলে যান।
সফরকে ঘিরে বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে গোপন বৈঠকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে ডিজিএফআই ও এনএসআইসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে। রিসোর্ট ও হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং গোয়েন্দারা জানান, কোনো বিদেশি নাগরিকের উপস্থিতি বা বৈঠকের প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে, দলের অনুমতি ছাড়া এমন সফরে যাওয়ায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সফর ঘিরে শুধু গোয়েন্দা তৎপরতাই নয়, কৌতূহল দেখা দিয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মাঝেও। অন্যদিকে, পুলিশ জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রাসাদ প্যারাডাইস হোটেল ঘিরে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এনসিপি নেতাদের এ সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন এই সফরের নেপথ্যে কি রয়েছে আরও কিছু?
https://shorturl.fm/3fr5t