২০২৪-২০২৫ সালের সহিংসতা ও অপরাধের এক পর্যালোচনা
দেশের চিত্র প্রতিবেদন
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র—যার জন্ম হয়েছে লাখো প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য ত্যাগ ও রক্তের স্রোতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা, ক্ষমতার জন্য হিংসা-বিদ্বেষ, এবং বৈদেশিক শক্তির প্রভাবের কারণে বহুবারই দেশ তার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় উদাহরণ হলো বিএনপি-র রাজনীতি, যার অতীত এবং বর্তমান কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে—এ দলের হাতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে।
অতীত থেকে বর্তমান: সহিংসতা ও উগ্রবাদের ধারাবাহিকতা
BNP-এর অতীত শাসনামলে বারবার এমন শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল।
দুর্নীতি, প্রশাসনিক পক্ষপাত ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন ছিল বিএনপি-শাসনের আরেক বৈশিষ্ট্য। Transparency International একাধিকবার তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে দেখিয়েছে।
২০২৪–২০২৫: সাম্প্রতিক সহিংসতার চিত্র
২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর সহিংস কার্যকলাপ নতুন মাত্রা পায়। আন্দোলনের নামে সহিংসতা, দখল, চাঁদাবাজি, এমনকি খুনের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
৪ আগস্ট ২০২৪, সিরাজগঞ্জ — এনায়েতপুর পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র হামলা
অক্টোবর ২০২৪, ঢাকা উত্তর — মোহাখালী বাস টার্মিনাল ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি
৯ জুলাই ২০২৫, মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা — ব্যবসায়ী ‘সোহাগ’ হত্যা
রাজনৈতিক সহিংসতার পরিসংখ্যান
প্রভাব ও বিশ্লেষণ
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন
অর্থনৈতিক ক্ষতি
সামাজিক অস্থিরতা
বিএনপি-র অতীত ও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, এ দলের হাতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন—সবই ঝুঁকির মুখে পড়তে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা ও সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজন একটি দায়িত্বশীল, প্রমাণ-নির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যা সহিংসতা নয়—গণতান্ত্রিক চর্চাকে এগিয়ে নেবে।
https://shorturl.fm/7IQGY
https://shorturl.fm/KDu04