অনলাইন ডেস্ক
গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত মানবতাবিরোধী অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড রায় দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল-কেও মৃত্যুদণ্ড এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া, আদালত জানিয়েছে, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বিমর্ষ মুখে রায় শুনেন এবং কারাগার থেকে আদালতে আনা হলে মাথা নিচু করে প্রিজন ভ্যান থেকে প্রবেশ করেছিলেন। অপর দুই আসামি, শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামাল, বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
আদালতের প্যানেলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, অন্যান্য সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ের সময় আদালত গণহত্যার সংজ্ঞা এবং মামলার বিভিন্ন সাক্ষীর সাক্ষ্যও পড়েছেন।
এই রায়টি গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলার রায় হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেল। আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তরা তাদের পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে গণবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন।
আইনগতভাবে, এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা সম্ভব, যা ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।