নিজস্ব প্রতিবেদক
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে দেশের আইনের চোখে কেউই ঊর্ধ্বে নয়। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা। আপিল ও রিভিউসহ বিচারব্যবস্থার সব স্তর স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া জরুরি বলেও মত দেন তাঁরা।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এসব কথা উঠে আসে।
সভার এক প্রস্তাবে বলা হয়, গত বছরের জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে নিহত ও আহত পরিবারের দীর্ঘদিনের ন্যায়বিচারের দাবি আংশিকভাবে পূরণ হয়েছে। যেকোনো হত্যাকাণ্ডের দায়ী ব্যক্তির বিচার গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা—এই রায় সেই প্রত্যাশার পরিণতি বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শককে রাজসাক্ষী বানিয়ে মাত্র পাঁচ বছরের দণ্ড দেওয়ার সমালোচনা করে বলা হয়, শহীদ পরিবার যেমন এই রায় মেনে নিতে পারেনি, তেমনি বাম জোটও গ্রহণ করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার আহ্বান জানানো হয়। নেতাদের মতে, এ ধরনের দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বেপরোয়া আচরণকে উৎসাহিত করতে পারে।
সভায় জুলাই–আগস্টের সময়ে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। নেতাদের ভাষ্যে, কঠোর ও ন্যায়সংগত শাস্তির ব্যবস্থাই ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ফ্যাসিবাদী পথে অগ্রসর হওয়া থেকে সতর্ক করবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন—