অনলাইন ডেস্ক
রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০–এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে মোট ৬০৬ জন ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৭ জন ভর্তি আছেন এবং ১৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অনেক আহত এখনো এই পরিসংখ্যানে যুক্ত হয়নি। ফলে মোট আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পুরান ঢাকার কসাইটুলিতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। তারা হলেন—
মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় নির্মীয়মাণ ভবনের রেলিং ধসে পড়ে মারা যান নিরাপত্তাকর্মী মাকসুদ (৫০)। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রূপগঞ্জে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামে ১০ মাস বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় নির্মীয়মাণ ভবন থেকে ইট পড়ে বাড়ির ছাদ ভেঙে শিশু মো. ওমর (৮), তার বাবা দেলোয়ার হোসেন এবং দুই বোন আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওমর ও তার বাবা দেলোয়ার মারা যান।
পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) মাটির ঘরের দেয়াল ধসে আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
শিবপুর উপজেলার আজকীতলা এলাকায় গাছ থেকে পড়ে আহত ফোরকান মিয়া (৪৫) হাসপাতালে মারা যান।
এ ছাড়া ডাঙ্গা ইউনিয়নের নাসিরউদ্দিন (৬৫) ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত এ ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী। কর্তৃপক্ষ এটিকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেছে।