আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল জইশ–সংযুক্ত এক ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গিগোষ্ঠী। তদন্তে জানা গেছে, এই নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। দিল্লির লালকেল্লার কাছে আই–২০ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত দুই চিকিৎসকের জেরা থেকে এমনই তথ্য পেয়েছে এনআইএ।
লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন। ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটিতে ছিলেন আত্মঘাতী বোমারু উমর মোহাম্মদ, যিনি পেশায় চিকিৎসক। তার সহযোগী ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিল বর্তমানে এনআইএ হেফাজতে রয়েছেন। তদন্ত–সংস্থার সূত্র জানায়, শাকিল জেরায় দাবি করেছেন—গত দুই বছর ধরে তারা দেশজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করছিলেন এবং ধাপে ধাপে বিস্ফোরণ–সংক্রান্ত উপকরণ সংগ্রহ করছিলেন।
এনআইএ সূত্রের দাবি, সংগঠিত নেটওয়ার্কের দায়িত্ব বণ্টন ছিল সুসংগঠিত। মুজাম্মিল মূলত বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গুরুগ্রাম ও হরিয়ানার নুহ অঞ্চল থেকে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে তিনি বিপুল পরিমাণ সার সংগ্রহ করেছিলেন। পরে এসব উপকরণ থেকে উপযোগী উপাদান প্রস্তুতের দায়িত্ব ছিল উমরের ওপর। তদন্তকারীদের বক্তব্য, সার প্রক্রিয়াজাত করতে যে স্থাপনাগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে।
দিল্লি বিস্ফোরণসহ সমগ্র নেটওয়ার্কের অর্থায়ন, পরিকল্পনা এবং সহযোগী চক্রের খোঁজে তদন্ত আরও বিস্তৃত করা হয়েছে বলে এনআইএ–র একটি সূত্র জানিয়েছে।