দেশের চিত্র প্রতিবেদন
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী, আর সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি করেন।
মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। ৩৭৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় আজ হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে—প্রদীপ কুমার দাশ মৃত্যুর পূর্বে সিনহার ওপর শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং লিয়াকত আলী সরকারি পিস্তল দিয়ে চারটি গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করেন। প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং আসামিদের স্বীকারোক্তি রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা ছয় আসামি হলেন— সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। হাইকোর্ট তাদের ষড়যন্ত্র ও সহায়তা প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর তল্লাশিচৌকে সিনহাকে লিয়াকত আলী গুলিতে হত্যা করেন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড, অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও ফৌজদারি রিভিশন আবেদন পেশ করা হয়। হাইকোর্ট সব আপিল খারিজ করে গত ২ জুন রায় ঘোষণা করেন।
পুর্নাঙ্গ রায়ে আদালত নির্ধারণ করেছেন—প্রদীপ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং লিয়াকত পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গুলি চালিয়েছিলেন। অপর ছয়জনের ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র ও সহায়তা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।