অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র তখনই নেওয়া হবে যখন মেডিক্যাল বোর্ড তাকে ফ্লাইটের জন্য উপযুক্ত মনে করবে। কারণ দীর্ঘ সময়ের বিমান যাত্রা একজন অসুস্থ রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
শুক্রবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ডা. জাহিদ বলেন, “এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত আছে, তবে প্রধান্য পাচ্ছে দেশনেত্রীর চিকিৎসা ও নিরাপত্তা। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চিকিৎসকরা মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।”
বর্তমান সময়ে খালেদা জিয়া ৭৯ বছর বয়সে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে আনার পর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় ভর্তি করা হয় এবং পরে অবস্থা অবনতি হওয়ায় সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করেছে, যার ফলে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে এসএসএফ। এছাড়া, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড চিকিৎসা তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও চিকিৎসক দল যুক্ত রয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান বর্তমানে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছেন এবং মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ‘ভিভিআইপি’ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও ফ্লাইট অবতরণ ও ত্যাগের জন্য সকল নিরাপত্তা ও অপারেশনাল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সূত্র মতে, ৯ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবে।
ডা. জাহিদ হোসেন সবাইকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব না ছড়াতে অনুরোধ করেছেন এবং দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন।