1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: রাজনৈতিক সহিংসতা ও জঙ্গি কায়দায় হামলা আসিফ মাহমুদকে ঘিরে হুমকিমূলক মন্তব্য: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক কমেন্ট ঘিরে উদ্বেগ বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী কোমায় পাকিস্তানে উত্তেজনা চরমে: পাঞ্জাব সংসদে পিটিআই নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস, ইমরানের পরিবারে বিক্ষোভ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বাবরি মসজিদ নির্মাণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা, রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিরোধ মৌলভীবাজারে রহস্যঘেরা বাংলোবাড়ি ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি শেখ মুজিবের মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে অস্বীকার করতে পারব না : নুর ডিসেম্বর ১৯৭১–এ মৌলভীবাজারে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অস্ত্র জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের পর অস্ত্র জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেশের চিত্র ডেস্ক

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থান দেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর সংকট সৃষ্টি করেছে। অভ্যুত্থানের সময় সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুদাম ও অস্ত্রাগার ভাঙচুরের শিকার হয় এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়ে যায়। এই অস্ত্রের একটি বড় অংশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে পড়ে এবং তা পরবর্তীতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে রূপ নেয়।


অস্ত্র ও গোলাবারুদের এই অবৈধ প্রবাহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করেছে। অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন এলাকায় গ্রুপগুলো অস্ত্রপ্রয়োগ করে জনশান্তি বিঘ্নিত করছে। ছিনতাই, ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎপর হলেও, অস্ত্রের বিস্তৃত লুট এবং জঙ্গিদের ছড়িয়ে পড়া কারণে কার্যকরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, এই অস্ত্রের বিস্তার দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। পূর্বে সুশৃঙ্খল সামাজিক পরিবেশে সহিংসতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, কিন্তু অভ্যুত্থানের পর অস্ত্রের সহজলভ্যতা এবং জঙ্গিদের সক্রিয়তা সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গ্রামের ছোট-বড় অনেক এলাকায় এই অস্ত্রের কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। স্কুল, কলেজ এবং সাধারণ বাজারে এই অস্ত্র ব্যবহার শঙ্কাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।


অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এর প্রভাবও গভীর। বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিনিয়োগ কমাচ্ছেন, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চুরি, ডাকাতি এবং হামলার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে ভয় পাচ্ছে, যা সমাজের মানসিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।


সরকারি পদক্ষেপ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান গুরুত্বপূর্ণ হলেও, অস্ত্র লুট হওয়া এবং জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে তা পৌঁছে যাওয়ায় চ্যালেঞ্জের মাত্রা বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন রেডঅ্যাকশন, গোপন অভিযান এবং নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। স্থানীয় জনগণকেও সমন্বিতভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ত্রের অবৈধ বাজার এখনও সচল, যা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানকে জটিল করে তোলে।


আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তারা উল্লেখ করেছেন যে, অভ্যুত্থান এবং লুট হওয়া অস্ত্রের ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্ত্রায়নের ফলে শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শান্তি প্রক্রিয়ার উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।


পরিশেষে বলা যায়, জুলাই ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের পর লুট হওয়া অস্ত্রের জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ। এটি কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করছে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।

তাই সরকারকে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, অস্ত্রের অবৈধ বাজার বন্ধ করা এবং জঙ্গি কার্যক্রম রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। শুধুমাত্র এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface