অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দুই দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলা ছিল ইসরায়েলের সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একটি প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ, যা ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে চালানো হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর মুখপাত্র এভিসাই আদরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই প্রতিহত করা হয়েছে অথবা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তবুও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভবন ধ্বংস ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং অন্তত ৭৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
‘ইরান ফ্রন্ট পেজ’-এর বরাতে জানা গেছে, ইরান এই হামলায় ‘আরাশ’ সিরিজের আত্মঘাতী ড্রোন (Suicide Drone) ব্যবহার করেছে। এই ড্রোন ইরানে স্থানীয়ভাবে নির্মিত এবং তাদের সামরিক প্রযুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
এই ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ইরান তাদের সামরিক প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং যুদ্ধের সময় ড্রোন ব্যবহারে কৌশলগত প্রস্তুতি প্রদর্শন করেছে। আরাশ ড্রোনের দীর্ঘপাল্লা এবং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার এই পর্বে ইরান যেভাবে অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, তা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এর ফলে অঞ্চলে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা ও অস্থিরতা বাড়তে পারে।
সূত্র: ইরান ফ্রন্ট পেজ