1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের “আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাওয়া কি উচিত নয়?” — প্রশ্ন এনসিপি নেতা সারজিস আলমের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মামলায় ডা. জুবাইদা রহমানের আপিলের শুনানি শুরু সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশের অভিযান ব্যর্থ জঙ্গি সংঘঠন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ, বিচার চলবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সম্প্রতি কাপল ভিডিওর প্রভাবে অনেক পরিবারে ভাঙ্গন ইমিগ্রেশন পার হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান

এক দিনের ক্রিকেটে দেশের সেরা অলরাউন্ডার হতে পারতাম, কিন্তু…

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০

এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার মশলা ছিল, কিন্তু কেরিয়ার ঠিকঠাক এগোয়নি, আক্ষেপ ইরফান পাঠানের

১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বডোদরার অলরাউন্ডার। দুরন্ত সুইংয়ে কেড়েছিলেন নজর। তার পর ব্যাটিংয়েও গুরুত্ব দেন। কিন্তু, তার পর চোটের জন্য জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে পারেননি তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল মাত্র ২৭ বছর বয়সে। এক ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “আরও অনেক সাফল্য পেতে পারতাম। আমার বিশ্বাস এক দিনের ক্রিকেটে দেশের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু তা ঘটেনি। কারণ, যতটা খেলার কথা, ততটা ক্রিকেট খেলিইনি। মাত্র ২৭ বছর বয়সে দেশের হয়ে শেষ বার খেলেছিলাম।”

মাত্র ৫৯ ম্যাচে ভারতের দ্রুততম বোলার হিসেবে এক দিনের ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান। এই রেকর্ড ১৩ বছর টিকে ছিল। যা ভাঙেন মহম্মদ শামি। ক্রমশ পাঠানের ভূমিকা বদলে গিয়েছিল। নতুন বলে দৌড় শুরু নয়, প্রথম বা দ্বিতীয় পরিবর্ত হয়ে ওঠেন তিনি। শততম উইকেটের পরে পাঠানের পরের ৭৩ উইকেট আসে ৬১ ম্যাচে। তখন ব্যাটিংয়ে জোর দিতে থাকেন তিনি। টেস্টে অলরাউন্ডার হিসেবে নেমে সেঞ্চুরিও করেন।

ইরফান বলেছেন, “যদি প্রথম ৫৯ ওয়ানডে ম্যাচের দিকে তাকান, দেখবেন যে ওই সময় নতুন বল হাতে দৌড়ে এসেছিলাম। নিউ বল বোলার হলে নতুন, পুরনো দুই রকম বলেই হাত ঘোরানোর সুযোগ আসে। লক্ষ্য, মানসিকতা, শরীরী ভাষা ও দায়িত্ব হয়ে ওঠে উইকেট নেওয়া। কিন্তু প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে বল করলে ভূমিকায় বদল ঘটে। তখন রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিতে হয়। সেই সময় কোচ ও ক্যাপ্টেন দেখতে থাকে ডিফেন্সিভ বোলার হিসেবে। তখন রান আটকানোর দায়িত্ব ঘাড়ে চাপে। ভূমিকা পাল্টে গেলে তখন তা প্রভাব ফেলে পরিসংখ্যানে।”

টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা নিয়ে ইরফান যে অসন্তুষ্ট, তা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার। ইউসুফ পাঠানের ভাই বলেছেন, “আমার মনে হয় এটা নিয়ে দলের তরফে কথা বলা উচিত। বলতে হত যে, ইরফান সাধারণত উইকেট নেওয়ায় জোর দেয়। কিন্তু আমরা ওকে একটা অন্য ভূমিকায় দেখতে চাইছি। আমরা প্রথম পরিবর্ত বোলারের দায়িত্ব দিয়েছি ওকে। যে কিনা এক দিনের ক্রিকেটে সাত-আট নম্বরে নামবে। এক দিকের ক্রিকেটে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।”

২০১২ সালের অগস্টে শ্রীলঙ্কায় শেষ এক দিনের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান। যা এসেছিল নতুন বল হাতে দৌড়ে এসেই। তাঁর কথায়, “২০১২ সালে নতুন বল হাতে আবার পাওয়ার পর পরিসংখ্যান পাল্টে যাচ্ছিল। শেষ ম্যাচেও তো নিয়েছিলাম পাঁচ উইকেট। এটা মোটেই বলছি না যে, শুধু নতুন বলেই বল করতে পারি। পুরনো বলে হাতে দৌড়ে আসতেও আমি তৈরি ছিলাম। কিন্তু, দলগত খেলায় ভূমিকা পাল্টে গেলে তা প্রতিফলিত হয় পরিসংখ্যানেও।”

সূত্র/আনন্দবাজার পত্রিকা

Share this Post in Your Social Media

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface