আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করতে এখনো প্রস্তুত নয়। এক সপ্তাহ আগের অবস্থান বজায় রেখে দেশটি এই বিষয়ে নিরুত্তর রয়েছে।
আজ শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, “এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। সেই প্রাপ্তি স্বীকার ছাড়া এ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।”
এ বিষয়ে আজকের হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি বিধিসম্মতভাবে উপস্থাপিত হয়নি। পাশাপাশি, বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি মানা সম্ভব নয় বলেও প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে মুখপাত্র জয়সোয়াল এই প্রতিবেদনের ওপর কোনো মন্তব্য করেননি।
ব্রিফিংয়ে সনাতন ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা আগেই বলেছি, অভিযুক্তরা সুবিচার পাবেন। বিচার প্রক্রিয়া ন্যায্য হবে।”
এছাড়া তুরস্কের একটি সংস্থা থেকে বাংলাদেশ সামরিক ট্যাংক কেনার খবর প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, “নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ভারত সবসময় সতর্ক এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম।”
তিনি আরও জানান, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় দেওয়া বিবৃতিতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, এবং প্রগতিশীল সম্পর্ক গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ব্রিফিংয়ে দুই দেশের আটক মৎস্যজীবীদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। জানানো হয়, ৫ জানুয়ারি ৯৫ জন ভারতীয় ও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরপাকড় ও দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জয়সোয়াল বলেন, “অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর, এবং তারা সেই কাজই করছেন।”