লাইফস্টাইল ডেস্ক
হাঁসের মাংস বাংলাদেশের অনেকের প্রিয় খাবার। স্বাদে ভিন্নতা ও পুষ্টিগুণের কারণে এর কদর দিন দিন বাড়ছে। তবে হাঁসের মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা না মানলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির ঝুঁকিই বেশি হতে পারে। নিচে সংক্ষেপে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
অসুস্থ হাঁস এড়িয়ে চলুন
হাঁস কেনার সময় খেয়াল করতে হবে হাঁসটি সুস্থ কিনা। অসুস্থ হাঁসে বার্ড ফ্লু বা অন্য ভাইরাস থাকতে পারে, যা মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
জবাই ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
হাঁস জবাই করার সময় রক্ত পুরোপুরি ঝরাতে হবে। এরপর পালক ও ভুঁড়ি পরিষ্কারের সময় ব্যবহৃত ছুরি বা চপিং বোর্ড অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে না। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
ভুঁড়ি ধোয়ার নিয়ম
হাঁসের ভুঁড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। তাই ভুঁড়ি আলাদা করে লবণ ও প্রচুর পানি দিয়ে ধোয়া জরুরি। চাইলে ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করা যায়।
সঠিকভাবে সংরক্ষণ
কাঁচা মাংস তাৎক্ষণিকভাবে রান্না না করলে ফ্রিজে রাখতে হবে। বারবার গলিয়ে আবার ফ্রিজে রাখা একেবারেই উচিত নয়।
ভালোভাবে সেদ্ধ করুন
হাঁসের মাংস শক্ত হয়। তাই অন্তত ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে সিদ্ধ করতে হবে। বুক, উরু ও ভুঁড়ি ভালোভাবে রান্না হয়েছে কিনা দেখা জরুরি।
তেল কম ব্যবহার করুন
হাঁসের মাংসেই প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর চর্বি থাকে। রান্নায় বাড়তি তেল-ঘি ব্যবহার করলে তা হৃদরোগ, কোলেস্টেরল ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
রোগীদের জন্য সতর্কতা
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা লিভারের সমস্যা থাকলে হাঁসের মাংস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের জন্যও মাংসটি ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়া দরকার।
অতিরিক্ত খাবেন না
হাঁসের মাংস পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা, গ্যাস বা অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই পরিমাণ মতো খাওয়াই উত্তম।
পরিবেশের খেয়াল রাখুন
জবাইয়ের পর পালক, ভুঁড়ি বা রক্ত যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না। এগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা যায়।
হাঁসের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও সঠিক সতর্কতা ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। অসুস্থ হাঁস এড়িয়ে চলা, ভুঁড়ি পরিষ্কার রাখা, যথেষ্ট তাপে রান্না করা এবং পরিমাণ মতো খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।