সিলেট টেস্টের প্রথম দিনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দারুণ পারফর্ম করেছে সফরকারীরা। স্বাগতিক বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি তারা।
রোববার শুরু হওয়া দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। প্রথম দিকে কিছুটা ভালো শুরু করলেও ধস নামে হঠাৎ করেই। মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। জবাবে জিম্বাবুয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪.১ ওভারে তুলে ফেলে ৬৭ রান। প্রথম দিন শেষে ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ক্রেইগ আরভিনের দল।
এই ম্যাচ দিয়েই সাদা পোশাকে বছরের প্রথম ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, দীর্ঘ চার বছর পর টেস্টে ফিরেছে জিম্বাবুয়ে, এবং ঘরের মাঠে পাঁচ বছর পর তাদের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে একেবারেই ছন্দে নেই স্বাগতিকরা।
ব্যাট হাতে শুরুটা মোটামুটি হলেও, টপ অর্ডারের দ্রুত পতনে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ৩১ রানে বিনা উইকেটে থাকা দলটি হঠাৎ করেই ১ রানের ব্যবধানে হারায় দুটি উইকেট। ভিক্টর নিয়াউচির জোড়া আঘাতে ফেরেন সাদমান ইসলাম (১২) ও মাহমুদুল হাসান জয় (১৪)।
এরপর কিছুটা হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের ৬৬ রানের জুটিতে মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর উইকেট হারায়নি টাইগাররা। তবে বিরতির পরপরই ধাক্কা খায় দলটি—৬৯ বলে ৪০ রান করে শান্ত বিদায় নেন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম (৪), মুমিনুল হক (৫৬), মেহেদী হাসান মিরাজ (১), এবং তাইজুল ইসলাম (৩)।
নিচের দিকেও তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ। ৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে সেটিও দলকে দু’শ ছুঁইছুঁই করতে পারেনি। জাকের করেন ২৮ রান, হাসান ১৯। শেষ উইকেটে নাহিদ রানার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৯১ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে মুজারাবানি শিকার করেন ৩টি উইকেট। ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ওয়েসলি মাধেভেরে ও ভিক্টর নিয়াউচি নেন ২টি করে উইকেট।
ছোট পুঁজিতে যা করা দরকার ছিল বাংলাদেশের, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। বল হাতে কোনো চাপই তৈরি করতে পারেনি টাইগাররা। নাহিদ রানার ওপর যে প্রত্যাশা ছিল, সেটাও পূরণ হয়নি—ওভারপ্রতি ৫-এর বেশি রান দিয়েছেন তিনি।
দিন শেষে ৩৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত আছেন ব্রায়ান ব্যানেট এবং ১৭ রানে ক্রিজে রয়েছেন বেন কারান।
আগামীকাল সকালে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই বাংলাদেশের। অন্যথায় ম্যাচ অনেক দূরে সরে যাবে।