নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্র সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং জুলাই আন্দোলনের কিছু প্ল্যাটফর্ম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হওয়া পাঁচজনকে ইতোমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত দেশের সব ইউনিট সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গঠিত রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি অংশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠছিল। তবে সাম্প্রতিক গুলশান ঘটনার পর এসব অভিযোগ আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের মতো আবারও রাজনৈতিক শূন্যতা ও সংগ্রামের পরিবেশে গড়ে ওঠা কিছু সংগঠনের অংশ বিশেষ দখলদারিত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব গঠনের পথে বড় অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।