1. info220@noreply0.com : anyamoorhouse1 :
  2. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় পোল্যান্ডে রুশ ড্রোন হামলা ‘ইচ্ছাকৃত’, অভিযোগ জেলেনস্কির সিলেটে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, অপমৃত্যু মামলা হাটহাজারীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্নিদের সংঘর্ষে আহত ২০০, পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি একটিমাত্র ভুলে প্রিয় চা হয়ে উঠতে পারে বিষ! সিরাতুন্নবী (সা.): মানবতার চিরন্তন আদর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন ড্রেস কোড: জিন্স-গ্যাবাডিন নয়, নিষিদ্ধ শর্ট স্লিভ ও লেগিংস জার্মানির এসেনে শিক্ষককে ছুরিকাঘাত: গ্রেপ্তারের সময় ১৭ বছরের সন্দেহভাজন গুলিবিদ্ধ ডাকসু নির্বাচন ২০২৫: শিক্ষার্থীরা কাকে চান নেতৃত্বে ? জরিপে চমকপ্রদ ইঙ্গিত জাপা কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিকাণ্ড: গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি

বাচ্চাদের জন্ডিস হলে করণীয়

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক

শিশুদের মধ্যে জন্ডিস বা হলুদ ত্বক এবং চোখের সমস্যা একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপুর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই সাধারণ। জন্ডিস মূলত বিলিরুবিনের অতিরিক্ত জমা থেকে হয়, যা রক্তে মিশে ত্বক এবং চোখের সাদা অংশকে হলুদ করে দেয়। যদিও অনেক সময় এটি স্বাভাবিক হতে পারে, তবে কখনো কখনো তা গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিতও দিতে পারে। তাই প্রতিটি অভিভাবককে সতর্ক থাকা এবং সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

জন্ডিসের প্রধান কারণ

শিশুদের জন্ডিসের কয়েকটি সাধারণ কারণ রয়েছে:

  1. নবজাতক জন্ডিস: জন্মের পর প্রথম কয়েকদিনে অনেক শিশুর রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। এটি সাধারণত শীঘ্রই কমে আসে।
  2. লিভার সমস্যা: লিভার ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে বিলিরুবিন বের হতে পারে না।
  3. রক্তের সমস্যার কারণে: রক্তের গ্রুপের অমিল বা রক্তের অন্য সমস্যার কারণে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  4. সংক্রমণ: শিশুর শরীরে সংক্রমণ থাকলে জন্ডিসের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

শিশুর জন্ডিস প্রায়শই দ্রুত শনাক্ত করা যায় চোখ এবং ত্বকের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে। চোখের সাদা অংশ হলুদ হলে বা ত্বক হালকা হলুদ রঙ ধারণ করলে এটি জন্ডিসের লক্ষণ।

লক্ষণ

জন্ডিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  • চোখের সাদা অংশ হলুদ হওয়া
  • ত্বক হলুদ রঙ ধারণ করা, বিশেষ করে মুখ, হাত এবং পায়ে
  • প্রস্রাবের রঙ গা dark ় বা ধূসর
  • মল পাতলা, হালকা রঙের বা গা dark ়
  • শিশুর খাদ্য গ্রহণ কমানো বা অস্বাভাবিকভাবে শান্ত বা ঘুমোয়া থাকা
  • বমি বা ডায়রিয়ার সমস্যা

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে ডাক্তারকে দ্রুত দেখানো উচিত। নবজাতক শিশুতে জন্ডিস দ্রুত গুরুতর হতে পারে, তাই অবহেলা করা যায় না।

করণীয়

১. ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া

শিশুর জন্ডিসের ক্ষেত্রে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। ডাক্তার প্রয়োজন হলে রক্ত পরীক্ষা, লিভার ফাংশন পরীক্ষা বা আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করবেন।

২. পুষ্টি ও হাইড্রেশন

  • নবজাতক শিশুদের জন্য প্রচুর স্তন্যপান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ শিশুর শরীর থেকে বিলিরুবিন বের করতে সাহায্য করে।
  • বড় শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত পানি বা তরল খাওয়ানো জরুরি। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং বিলিরুবিন কমাতে সাহায্য করে।

৩. সূর্যালোক

  • প্রাকৃতিক আলো বা সূর্যালোক শিশুর ত্বকে বিলিরুবিন ভেঙে বের করতে সাহায্য করে।
  • সরাসরি তীব্র রোদে রাখবেন না, হালকা আলো বা জানালার পাশের আলো যথেষ্ট।
  • গুরুতর জন্ডিসের ক্ষেত্রে ডাক্তার ফটথেরাপি বা লাইট থেরাপি নির্ধারণ করতে পারেন।

৪. পরিচ্ছন্নতা

  • শিশুর প্রস্রাব এবং মল দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।
  • হাত ধোয়া এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।

৫. ওষুধ

  • নিজে ওষুধ বা ভেষজ চিকিৎসা দেবেন না। শিশুদের জন্ডিসে কেবল ডাক্তার নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

সতর্কতার লক্ষণ

অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কিছু ক্ষেত্রে জন্ডিস গুরুতর হতে পারে। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে ডাক্তারকে দ্রুত দেখাতে হবে:

  • চোখ বা ত্বক খুব বেশি হলুদ হয়ে যাওয়া
  • প্রস্রাবের রঙ ধূসর বা গা dark ়
  • শিশুর খাবার গ্রহণ কমানো, অস্বাভাবিক শান্ত বা ঘুমোয়া থাকা
  • বমি বা ডায়রিয়া

শিশুদের জন্ডিস একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। নবজাতক থেকে বড় শিশুরা যেকোনো বয়সে আক্রান্ত হতে পারে। সচেতনতা, পর্যাপ্ত দুধ বা তরল খাওয়ানো, সূর্যালোক এবং পরিচ্ছন্নতা জন্ডিস কমাতে সহায়ক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া এবং শিশুর অবস্থার ওপর নজর রাখা। সতর্কতার লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করে।

জন্ডিস প্রায়ই স্বাভাবিকভাবে কমে যায়, কিন্তু যত্ন এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই শিশুর জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর পন্থা। অভিভাবকরা সচেতন থাকলে জন্ডিস সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface