1. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নাশকতা আতঙ্কে জনজীবন: নিরাপত্তায় চাই কঠোরতা ও আস্থা সুপারফুড: স্বাস্থ্যরক্ষায় প্রকৃতির আশ্চর্য সম্পদ ডিএনএ বিশ্লেষণে প্রকাশ: হিটলারের গোপন জেনেটিক যৌন বিকলতা দিল্লির রেড ফোর্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: ১২ নিহত, সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে তদন্ত শুরু ‘বড় নাশকতার পরিকল্পনা’, সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার গাজীপুরে পেট্রোল বোমাসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা আটক ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে নাশকতার পরিকল্পনা, নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা আটক দেশজুড়ে সহিংসতার জোয়ার: ১৮ স্থানে হামলা, ঢাকায় কড়ায়গণ্ডায় নিরাপত্তা শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার ইস্যুতে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব, বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ সারাদেশে চাঁদাবাজি: বিএনপির প্রার্থী আজহারুল মান্নানের বিতর্কিত বক্তব্য

বিএনপি- র হাতে বাংলাদেশ কি নিরাপদ?

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

২০২৪-২০২৫ সালের সহিংসতা ও অপরাধের এক পর্যালোচনা

দেশের চিত্র প্রতিবেদন

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র—যার জন্ম হয়েছে লাখো প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য ত্যাগ ও রক্তের স্রোতে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা, ক্ষমতার জন্য হিংসা-বিদ্বেষ, এবং বৈদেশিক শক্তির প্রভাবের কারণে বহুবারই দেশ তার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় উদাহরণ হলো বিএনপি-র রাজনীতি, যার অতীত এবং বর্তমান কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে—এ দলের হাতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গভীর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে।

অতীত থেকে বর্তমান: সহিংসতা ও উগ্রবাদের ধারাবাহিকতা

BNP-এর অতীত শাসনামলে বারবার এমন শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল।

  • ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী: হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন আন্তর্জাতিক মহলেও সমালোচিত হয়।
  • ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তৎকালীন সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও বিচার ব্যাহত করার চেষ্টা রাজনৈতিক নৈতিকতার বড় প্রশ্ন তোলে।
  • ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট: দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক ভয়াবহ সতর্ক সংকেত। তৎকালীন সরকার জঙ্গিদের রক্ষা করেছে বলে অভিযোগ উঠে।

দুর্নীতি, প্রশাসনিক পক্ষপাত ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন ছিল বিএনপি-শাসনের আরেক বৈশিষ্ট্য। Transparency International একাধিকবার তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে দেখিয়েছে।

২০২৪–২০২৫: সাম্প্রতিক সহিংসতার চিত্র

২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর সহিংস কার্যকলাপ নতুন মাত্রা পায়। আন্দোলনের নামে সহিংসতা, দখল, চাঁদাবাজি, এমনকি খুনের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার সংবাদমাধ্যমে এসেছে।

৪ আগস্ট ২০২৪, সিরাজগঞ্জ — এনায়েতপুর পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র হামলা

  • ১৫ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন, যাদের অনেকেই তখন আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন বা আশ্রয় নিচ্ছিলেন।
    • স্থানীয় বিএনপি নেতা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, এটি ছিল “রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড ভাঙার” অংশ।

অক্টোবর ২০২৪, ঢাকা উত্তর — মোহাখালী বাস টার্মিনাল ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি

  • BNP-র দুই নেতা লক্ষাধিক টাকা দৈনিক হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত।
    • অবৈধ ফি আদায়, স্থানীয় মসজিদ ও ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ—রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের স্পষ্ট উদাহরণ।

৯ জুলাই ২০২৫, মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা — ব্যবসায়ী ‘সোহাগ’ হত্যা

  • ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাকে কংক্রিট পাথর দিয়ে আঘাতের পর নিচে ফেলে হত্যা করা হয়।
    • তদন্তে জুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

রাজনৈতিক সহিংসতার পরিসংখ্যান

  • আগস্ট ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৪৫টি ঘটনা, ১২০ জন নিহত, ,৮৯২ জন আহত
  • নিহতদের মধ্যে ৭৪ জন (৬১%) বিএনপি-সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে প্রাণ হারান।
  • হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি—সব ক্ষেত্রেই পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় সংখ্যা বেড়েছে।

প্রভাব ও বিশ্লেষণ

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন

  1. পুলিশ স্টেশন আক্রমণ, সমন্বিত বোমা হামলা, প্রকাশ্য খুন—এসব রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত।

অর্থনৈতিক ক্ষতি

  1. পরিবহন ও ব্যবসা কেন্দ্র দখল, অবৈধ অর্থ আদায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করে।
  2. সহিংসতায় বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি।

সামাজিক অস্থিরতা

  1. সাধারণ মানুষ ভয়ের মধ্যে বসবাস করে, কারণ রাজনৈতিক সহিংসতা ক্রমেই ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করছে।

বিএনপি-র অতীত ও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, এ দলের হাতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন—সবই ঝুঁকির মুখে পড়তে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা ও সহিংসতা প্রতিরোধে প্রয়োজন একটি দায়িত্বশীল, প্রমাণ-নির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যা সহিংসতা নয়—গণতান্ত্রিক চর্চাকে এগিয়ে নেবে।

Share this Post in Your Social Media

2 responses to “বিএনপি- র হাতে বাংলাদেশ কি নিরাপদ?”

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface