দেশের চিত্র অনলাইন
জাতিসঙ্ঘের শীর্ষ প্রযুক্তি কর্মকর্তা ডোরিন বোগডান-মার্টিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আন্তর্জাতিক কাঠামো গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বৈষম্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) প্রধান ডোরিন বলেন, “আমি চাই এআই মানবকল্যাণে ব্যবহৃত হোক। কিন্তু দ্রুত অগ্রসর হওয়া এই প্রযুক্তির ফলে চাকরি হারানো, ভুয়া কনটেন্ট ছড়ানো ও সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি জানান, এখনো বিশ্বের ৮৫% দেশের কোনো জাতীয় এআই নীতিমালা নেই। অথচ একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সংলাপ এখন সময়ের দাবি। ইউরোপ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের এআই নীতিতে পার্থক্য থাকায় আন্তর্জাতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের “কম নিয়ন্ত্রণ, বেশি উদ্ভাবন” কৌশল নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও, তিনি বলেন—“বিচ্ছিন্ন ও খণ্ড খণ্ড উদ্যোগে সমন্বয়হীনতা তৈরি হবে। বৈশ্বিক উদ্যোগ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আসবে না।”
এআই প্রযুক্তির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে এআই। তবে বিশ্বের ২৬০ কোটি মানুষ এখনো ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত—তারা এআই-তেও পিছিয়ে।”
ডোরিন বোগডান-মার্টিন আইটিইউ’র ১৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাসচিব। তিনি নারীদের ডিজিটাল খাতে, বিশেষ করে এআই প্রযুক্তিতে অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সূত্র: এএফপি/বাসস
Leave a Reply