1. info220@noreply0.com : anyamoorhouse1 :
  2. desherchitrabd@gmail.com : Desher DesherChitra : Desher Chitra
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লিসবনে পর্তুগাল বিএনপির উদ্যোগে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নর্থ ইংল্যান্ড বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি ডাকসুতে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় পোল্যান্ডে রুশ ড্রোন হামলা ‘ইচ্ছাকৃত’, অভিযোগ জেলেনস্কির সিলেটে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, অপমৃত্যু মামলা হাটহাজারীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্নিদের সংঘর্ষে আহত ২০০, পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি একটিমাত্র ভুলে প্রিয় চা হয়ে উঠতে পারে বিষ! সিরাতুন্নবী (সা.): মানবতার চিরন্তন আদর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন ড্রেস কোড: জিন্স-গ্যাবাডিন নয়, নিষিদ্ধ শর্ট স্লিভ ও লেগিংস জার্মানির এসেনে শিক্ষককে ছুরিকাঘাত: গ্রেপ্তারের সময় ১৭ বছরের সন্দেহভাজন গুলিবিদ্ধ

অটিজম: জন্মগত স্নায়ুবিক বিকাশজনিত ভিন্নতা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক

অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (এএসডি) হলো এক ধরনের স্নায়ুবিক বিকাশজনিত অবস্থা, যার লক্ষণ সাধারণত শিশুর জীবনের প্রথম তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়। ‘স্পেকট্রাম’ শব্দটি ইঙ্গিত করে যে এই অবস্থার ধরণ ও তীব্রতা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। ফলে প্রতিটি অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তির আলাদা শক্তি, চ্যালেঞ্জ ও বৈশিষ্ট্য থাকে।

মনোবিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রের ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিসঅর্ডার্স (ডিএসএম-৫) অনুসারে অটিজমকে দুইটি প্রধান লক্ষণভিত্তিক শ্রেণিতে ভাগ করেছেন—
১. সামাজিক যোগাযোগ ও পারস্পরিক ক্রিয়ায় ঘাটতি।
২. সীমিত ও পুনরাবৃত্ত আচরণ, আগ্রহ বা কর্মকাণ্ড।

শিশুর বিকাশ পর্যায়ে এসব লক্ষণ দেখা দিলেই তা অটিজমের ইঙ্গিত হতে পারে, তবে সঠিক নির্ণয়ের জন্য যোগ্য চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অপরিহার্য। বর্তমানে অটিজম শনাক্তে কোনো রক্ত পরীক্ষা বা জেনেটিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই; বরং পর্যবেক্ষণ, অভিভাবকের সাক্ষাৎকার ও নানা ধরণের প্রশ্নপত্র ব্যবহার করা হয়।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতি ৫৪ জন শিশুর মধ্যে একজন অটিজমে আক্রান্ত। ছেলেদের মধ্যে এর হার তুলনামূলক বেশি হলেও এটি সব লিঙ্গ, জাতি ও সামাজিক স্তরের মানুষের মধ্যেই দেখা যায়।

অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা। গবেষকরা মনে করেন, জেনেটিক, স্নায়ুবিক ও পরিবেশগত নানা উপাদানের যৌথ প্রভাব এর পেছনে কাজ করে। চিকিৎসা নেই, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ একজন অটিজম আক্রান্ত শিশুর সামাজিক ও শিক্ষাগত দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, মৃগী রোগ, হজমজনিত সমস্যা বা ঘুমের অসুবিধার মতো সহ-অবস্থা (কমর্বিডিটি) নিয়ে ভোগেন। এসব সমস্যা দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা করলে তাদের জীবনমান উন্নত হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অটিজম সম্পর্কে সঠিক ও বৈজ্ঞানিক ধারণা গড়ে তুলতে গণমাধ্যম ও সংস্কৃতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমা বা বইয়ের চরিত্রের বাইরে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাই অটিজম বোঝার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

সূত্র: Autism Research Institute, CDC, DSM-5

Share this Post in Your Social Media

Comments are closed.

এই ধরনের আরও খবর
Copyright © 2025, সাপ্তাহিক দেশের চিত্র. All rights reserved.
Weekly Desher Chitra developed by LogoMyface