আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও সেখানে মানবিক সংকটের খুব একটা উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, গাজায় সহায়তার প্রবাহ এখনো অপ্রতুল, ফলে ক্ষুধা ও অপুষ্টির ভয়াবহতা কমেনি।
জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস বলেন,
“পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। যা প্রবেশ করছে, তা একেবারেই যথেষ্ট নয়। যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ক্ষুধার ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি, কারণ প্রয়োজনীয় খাদ্য এখনো পৌঁছায়নি।”
১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে টেড্রোস জানান, “চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক সহায়তা প্রবেশের কথা থাকলেও বাস্তবে ২০০ থেকে ৩০০টির বেশি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করছে না।”
এর মধ্যে “বেশিরভাগ ট্রাকই বাণিজ্যিক,” অর্থাৎ অনেকেরই পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীর সংখ্যা আরও কমে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযান দুই বছরে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
“গাজায় এখন কোনো সম্পূর্ণরূপে কার্যক্ষম হাসপাতাল নেই। ৩৬টির মধ্যে মাত্র ১৪টি কোনোমতে চালু আছে। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যকর্মীর মারাত্মক সংকট চলছে,” — বলেন টেড্রোস।
যুদ্ধবিরতির পর সংস্থাটি কিছু চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে, অতিরিক্ত জরুরি চিকিৎসা দল মোতায়েন করেছে এবং আহতদের স্থানান্তরের উদ্যোগ বাড়িয়েছে বলে তিনি জানান।
টেড্রোস সতর্ক করে বলেন,
“যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও সংকটের সমাধান এখনো অনেক দূরে। সহায়তার প্রবাহ বেড়েছে, কিন্তু তা এখনো প্রয়োজনের তুলনায় এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে কমপক্ষে ৭ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
সূত্র : এএফপি